সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিএইচবি প্রচার কর্মসূচিগুলোতে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির দিকে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে তথ্য ও শিক্ষামূলক ভিডিও প্রচার। ফেসবুক, ইউটিউব ও ওয়েব সাইটে কয়েকদিন আগে অধ্যাপক ডাঃ তহমিনা সোনিয়ার সাক্ষাৎকারের দু’টি এপিসোড প্রচারিত হয়েছে। অধ্যাপক সানিয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং পরিচালক, সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ছিলেন। সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন ডাঃ আবু সায়েম যিনি একজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। তারা এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। যেমন মানব ও প্রাণী দেহে এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার, দুর্বল সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ অভ্যাস, অপর্যাপ্ত সেনিটেশন ব্যবস্থা ইত্যাদি। বিএইচবির আর একটি উদ্যোগ হলো বিএইচবির ওয়েব সাইটে ব্লগ পোস্ট প্রচার করা। বিএইচবির ফোকাল পয়েন্ট অনলাইন বৈশ্বিক জ্ঞান ভান্ডার, গবেষনাপত্র, নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ইত্যাদি উৎস থেকে উপযোগী তথ্য আহরণ করে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্যসমৃদ্ধ, কারিগরি বিষয় এবং মতামত-ভিত্তিক ব্লগ পোস্ট রচনা করেন এবং সেগুলো ব্লগে পোস্ট করেন। গত প্রান্তিকে মোট ৬টি ব্লক পোস্ট করেছেন তিনি। সেগুলো বাংলা ভাষায় রচিত। ব্লগ পোস্টগুলো আবার ফেসবুক পেজে ক্রস পোস্ট করা হয় যাতে অধিক সংখ্যক দর্শকের নজরে আসে। আর একটি উদ্যোগ হলো জরিপ ও গবেষনা পরিচালনা। ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ থেকে ১৪ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত একটি জরিপ পরিচালনা করা হয়। বিষয়টি ছিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক ঔষধ প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠানগুলের প্রতি জারিকৃত এন্টিবায়োটিক ঔষধ বাজারজাতকরণের শর্ত হিসেবে মোড়কে অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত সাবধানবানী যুক্ত করার বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রেক্ষিতে ঔষধ বিপনীগুলোতে এর প্রভাব সম্পর্কে জানা। জরিপের ফলাফল এই নিউজলেটারে প্রকাশিত হয়েছে। বিএইচবির ফেসবুকটির পেজটি ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চালু করা হয়। গুগল এনালাটিকসের বিশ্লেষন অনুযায়ী শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১,০৯৯,২৮০ জন দর্শকের কাছে এর বিভিন্ন পোস্ট পৌঁছেছে।