বাংলাদেশে প্রায় ১৫৬,০০০ লাইসেন্সপ্রাপ্ত ঔষধের বিপনী রয়েছে। লাইসেন্সবিহীন ঔষধ বিপনী আছে আরও প্রায় ১৬০,০০০। সব মিলিয়ে প্রায় ৩১৬,০০০। এগুলোর শতকরা ৯০ ভাগ (প্রায় ২৮৪,০০০টি) কমিউনিটি ফার্মেসি। সাধারণ নাগরিকদের যে সমস্ত ঔষধ বিপনী ঔষধ বিপনন সংক্রান্ত সেবা প্রদান করে থাকে সেগুলোকেই কমিউনিটি ফার্মেসি বলা হয়। সেই বিবেচনায় এটা দাঁড়ায় যে, বাংলাদেশে প্রতি ১০,০০০ মানুষের জন্য ১৬.৭টি করে কমিউনিটি ফার্মেসি রয়েছে। বিপরীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে প্রতি ১০,০০০ মানুষের জন্য ২.১টি। বিশ্বের গড় হলো প্রতি ১০,০০০ মানুষের জন্য ২.৫টি। চার্টটিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভিন্ন অঞ্চলের চিত্র প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশে যদি প্রতি ১০,০০০ মানুষের জন্য ৪টি করে কমিউনিটি ফার্মেসিরও ব্যবস্থা থাকে তাহলে প্রয়োজন হবে ৬৮,০০০ কমিউনিটি ফার্মেসি। কিন্তু, বাংলাদেশে বিদ্যমান বিপুল সংখ্যক (৩১৬,০০০) ঔষধ বিপনী ধাকার কারণে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর স্বল্প জনবল দিয়ে এগুলোকে তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা। যদি ঔষধ বিপনীর সংখ্যা এক তৃতীয়াংশে হ্রাস করা যেতো দেশের চাহিদাও মিটতো এবং সেই সঙ্গে যথাযথ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা যেতো, মানুষ সর্বত্র সেগুলোর সেবা পেতো এবং সার্বিকভাবে ফার্মেসি সেবার মান বৃদ্ধি পেতো।