এন্টিবায়োটিকস-এর অপব্যবহার রোধে ঔষধ কোম্পানীগুলোকে এন্টিবায়োটিকস ঔষধ বাজারজাতকরণের শর্ত হিসেবে মোড়কে লাল রংয়ে “এন্টিবায়োটিকসঃ কেবলমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শক্রমেই ব্যবহার্য্য” এই সতর্কীকরণ বানী যুক্ত করার নির্দেশনা প্রদান করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। আইইডিসিআর কর্তৃক পরিচালিত একটি গবেষনায় দেখা গেছে যে, বাংলাদেশে শতকরা ৩১ থেকে ৬৭ ভাগ ব্যাকটেরিয়াই এন্টিবায়োটিকস প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। ঔষধ প্রশাসনের এই উদ্যোগ সমস্যাটি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি বিপনন কাজে নিয়োজিত কর্মীরা সহজেই এন্টিবায়োটিকস ঔষধ সনাক্ত করতে পারবে এবং চিকিৎসকের প্রেশক্রিপশন ছাড়া বিক্রয় করা থেকে বিরত থাকবে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এ বিষয়ে প্রচার কর্মসূচিও গ্রহণ করেছে। অধিদপ্তর গত ১৫ ও ১৬ মার্চ ২০২৩ রাজশাহী জেলায় বিশেষ কর্মশালা আয়োজন করে। সহযোগিতা করে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। বিএইচবি-র সিনিয়র কারিগরি উপদেষ্টা রাইয়ান আমজাদ এই কর্মশালায় উপস্থিত থেকে এন্টিবায়োটিকস রেজিস্ট্যান্স বিষয়ে বিএইচবি কিভাবে ভূমিকা পালন করছে তা তুলে ধরেন। কর্মশালার প্রথম দিনের কর্মসূচিটি ছিল ঔষধ বিপননকারিদের জন্য এবং এতে সভাপতিত্ব করেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিটি ছিল চিকিৎসকদের জন্য এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ এতে সভাপতিত্ব করেন।