খুচরা ঔষধ বিপনী-ভিত্তিক ২০২৩-২০২৪ রাউন্ডের এক্রেডিটেশন কার্যক্রমে বিএইচবি প্রত্যাশিত গতিতেই এগোচ্ছে

বিএইচবি ঔষধ প্রশাসনের সাথে খুচরা ঔষধ বিপনী-ভিত্তিক একটি নুতন এক্রেডিটেশন কার্যক্রম রাউন্ড শুরু করেছে যার বাস্তবায়ন কাল ২০২৩-২০২৪ সাল। এই কার্যক্রমের প্রথম ধাপ খুচরা ঔষধ বিপনীগুলোর প্রাক-যাচাই। এজন্য অস্থায়ীভাবে নিয়োগকৃত বিএইচবি-র মাঠকর্মীরা দৈবচয়ন ভিত্তিতে বিভিন্ন খুচরা ঔষধ বিপনীতে উপস্থিত হয়ে তিনটি বিষয় পরীক্ষা করে দেখেঃ (১) ঔষধ বিপনীটির হালনাগাদ ড্রাগ লাইসেন্স আছে কিনা? (২) ঔষধ বিপনীটিতে পিসিবি-র হালনাগাদ লাইসেন্সপ্রাপ্ত একজন ফার্মাসিস্ট বা গ্রেড সি ফার্মেসি টেকনিশিয়ান আছে কিনা? এবং (৩) ঔষধ বিপনীটির ফ্লোর স্পেস কমপক্ষে ১২০ বর্গফুট কিনা? যদি এই তিনটি প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ-বোধক হয়, তাহলে ঐ মাঠকর্মী একটি অনলাইন তথ্য সংগ্রহ টুল ব্যবহার করে ঔষধ বিপনীটির প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে। ঐ বিপনীর ঔষধ বিপননকারিকে এরপর গুড ফার্মেসি প্রাকটিস, এন্টিবায়োটিকস রেজিস্ট্যান্স, কোভিড-১৯-এর মত বিশ্বমারী বিষয়ে প্রশিক্ষণে আমন্ত্রণ জানানো হয়। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ ও সফলভাবে সম্পন্ন করা সাপেক্ষে ঔষধ বিপনীটিকে একটি নির্দিষ্ট টাইমলাইন দেয়া হয় যাতে ঐ সময়ের মধ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঔষধ বিপননকারি বিপননটির ভৌতিক অবকাঠামো, ঔষধ সংরক্ষণ ব্যবস্থা ও বিপনন পদ্ধতি সরকার নির্দেশিত আদর্শ মানে উন্নীত করে। চুড়ান্ত পর্যায়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট জেলা কর্মকতা ঔষধ বিপনীটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং সন্তুষ্টি সাপেক্ষে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সদর দফতরে ঔষধ বিপনীটিকে এক্রেডিটেশন স্বীকৃতি প্রদানের জন্য সুপারিশ প্রেরণ করেন। ২০২৩-২০২৪ সালের এক্রেডিটেশন লক্ষ্যমাত্রা ৩,৫০০ খুচরা ঔষধ বিপনী। এজন্য ৩,০০০ খুচরা বিপনীতে প্রাক-যাচাই পরিচালিত হবে। পূর্বের প্রাক-যাচাই রাউন্ডগুলিতে সফলকাম বেশ কিছু খুচরা ঔষধ বিপনীর বিপননকারিকেও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। ২০২৩-২০২৪ রাউন্ডের প্রাক-যাচাই শুরু হয়েছে এ বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে। এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত ১,৮৩৫টি খুচরা ঔষধ বিপনীতে প্রাক-যাচাই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে যে, জুন ২০২৩-এর মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।