BHB Newsletter

টিএমসি সভায় বিএইচবি প্রকল্পের ২০২৩ সালের অগ্রগতি অবহিতকরণ

বিএইচবি প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে টেকনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটি নিয়মিত একটি করে ত্রৈমাসিক সভায় মিলিত হয়। বেটার হেলথ ইন বাংলাদেশ (বিএইচবি) প্রকল্পের ১০ম টেকনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে ২২ নভেম্বর ২০২৩। সভাপতিত্ব করেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ডাঃ মোহাম্মদ ইউসুফ মহোদয়। সভার স্থান ছিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। সভার শুরুতে অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ইসমাইল খান, উপাচার্য, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ব এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স সচেতনতা সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষ্যে “Preventing Antimicrobial Resistance Together” শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অতঃপর বিএইচবি-র মুখ্য কারিগরী উপদেষ্টা ডাঃ মোঃ ইফতেখার হাসান খান প্রকল্পের অগ্রগতি সভায় উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, খুচরা ঔষধের দোকানের প্রাক-মূল্যায়ন প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা ৩,০০০-এর বিপরীতে মোট ৩,৪৬১-টিতে সম্পন্ন করা হয়েছে। খুচরা ঔষধের দোকান এক্রেডিটেশনের প্রথম পদক্ষেপ হল এই প্রাক-মূল্যায়ন। তিনি বলেন, প্রাক-মূল্যায়িত ওষুধের দোকানগুলির মধ্যে উপযুক্ত ২,৫০০টি দোকানের প্রতিটি থেকে একজন করে ঔষধ বিপননকারীকে মডেল ফার্মেসি / মডেল মেডিসিন শপ পরিচালনা বিষয়ে রিফের্সাস প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ প্রদান করা হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী উক্ত প্রশিক্ষণ শেষে উপযুক্ত এবং মানসম্মত ৩,৫০০টি ঔষধের দোকানকে ২০২৪ সালে মডেল মেডিসিন শপে উন্নীত করার লক্ষ্যে বিএইচবি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সাথে কাজ করবে। ডাঃ মোঃ ইফতেখার আরও বলেন, বাংলাদেশে গুড ফার্মেসি প্র্যাকটিস প্রচলনের লক্ষ্যে বিএইচবি এ যাবত মোট ১১,৫৭৭ জন ফার্মেসি টেকনিশিয়ানকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। পরবর্তী ২,৫০০ জনের প্রশিক্ষণ শেষে তা ১৪,০৭৭-তে পৌঁছাবে। লক্ষ্যমাত্রা ১৪,০০০। তিনি জানান, ইতোমধ্যে মোট ৬,৭৩৫টি খুচরা ঔষধের দোকান এক্রেডিটেশন পেয়েছে এবং এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ৩,৫০০ ঔষধে দোকানকে এক্রেডিটেশন প্রদান করা। ফলে এক্রেডিডিটেশনপ্রাপ্ত ঔষধের দোকানের সংখ্যা ১০,২৩৫টিতে পৌঁছাবে। লক্ষ্যমাত্রা ১০,০০০। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, এ বছরের প্রশিক্ষণটি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় গত ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে উদ্বোধন করেছেন।