BHB Newsletter

নুতন কারিগরি সহায়তা

‘রোগ নজরদারি’ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে প্রদেয় কারিগরি সহায়তা: কোভিড-১৯ মহামারী দেশ এবং সমগ্র বিশ্বকে নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি করেছে। জাতীয় পর্যায়ের বিদ্যমান রোগ নজরদারি ব্যবস্থা পুনঃবিবেচনা করার আশু প্রয়োজন এবং গুরুত্ব সকল দেশ নতুন অভিজ্ঞতায় প্রত্যক্ষ করেছে। এই প্রয়োজন দাতা এবং সরকার উভয় গোষ্ঠিই সমভাবে অনুধাবন করেছে। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর জাতীয় পর্যায়ের রোগ নজরদারি ব্যবস্থার বিদ্যমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতে কোভিড-১৯-এর মতো বৈশ্বিক মহামারীর মোকাবলার প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে এই ব্যবস্থাকে শক্তিশালীকল্পে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য কারিগরি সহায়তা প্রদানের জন্য বিএইচবিকে অনুরোধ করেন। সৌভাগ্যক্রমে, বিএইচবি-র দাতা সংস্থা এফসিডিও বাংলাদেশ সরকারের রোগ-নজরদারি ক্ষমতা জোরদার করতে সহায়তা করার বিষয়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল ছিল যাতে বাংলাদেশও কোভিড-১৯ মহামারীর মতো যে কোনও সংকট পরিস্থিতির ব্যবস্থাপনা আরও ভালভাবে এবং দক্ষতার সাথে পরিচালনা করতে সক্ষম হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কারিগরি সহায়তা কমিটিও এই প্রস্তাব অনুমোদন করে। পরবর্তি কার্যক্রম হিসাবে বিএইচবি একজন পরামর্শক নিয়োগ করে। তিনি ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে যোগ দিয়েছেন ৫ অক্টোবর ২০২১ তারিখে ইনসেপশন প্রতিবেদন  জমা দিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর / স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়নে সহায়তার জন্য কারিগরি সহায়তা: বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নতুন হাসপাতাল স্থাপন এবং/অথবা সম্প্রসারণ, প্রশিক্ষণ সুবিধা সৃষ্টি বা অন্যান্য স্বাস্থ্য অবকাঠামো তৈরি ইত্যাদির মতো অনেক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে হয়। এসব প্রক্রিয়ার জন্য প্রায়শঃই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ বা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে বেশ কয়েকটি পর্যালোচনা এবং পূণঃপর্যালোচনাও মধ্যবর্তী পর্যায়ের মাধ্যমে অনুমোদন প্রয়োজন হয়। তবে নথি প্রস্তুতি, সংশোধন, সভার নথিপত্র প্রস্তুতকরণ, বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর/ ব্যাখ্যা প্রদান ইত্যাদির প্রাথমিক দায়িত্ব  স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালকের কাছেই ন্যস্ত করা হয়। পরিচালক, পরিকল্পনা স্পষ্টতঃই এসব কাজের জন্য চাপের মধ্যে থাকেন এবং প্রায়শঃই সময়সীমা পূরণ করতে ব্যর্থ হন। এই প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই কাজগুলিতে পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালককে সহায়তা করার জন্য একজন পরামর্শক নিয়োগের জন্য কারিগরি সহায়তা প্রদানের জন্য বিএইচবি-কে অনুরোধ করেছিল। মন্ত্রণালয়ের কারিগরি সহায়তা কমিটির অনুমোদন পাওয়ার পর বিএইচবি একজন পরামর্শদাতা নিয়োগ করে। তিনি ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে যোগ দেন এবং ৬ অক্টোবর ২০২১ তারিখে ইনসেপশন প্রতিবেদন জমা দেন।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের জন্য আইটি পরামর্শদাতা:  বিএইচবি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে তার কাজের অধিক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ, পর্যবেক্ষণ এবং অন্যান্য কারিগরি দিকগুলি শক্তিশালীকল্পে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে থাকে। এই সহায়তার অংশ হিসাবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সেখানে একজন আইটি পরামর্শদাতা প্রদানের জন্য বিএইচবি-কে অনুরোধ করেছিলেন। তদনুসারে, বিএইচবি একজন আইটি পরামর্শদাতা নিয়োগ করে যিনি ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে যোগ দেন। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে তার স্বল্প সময়ের কাজের সময়কালে তিনি তার কাজের মাধ্যমে প্রচুর প্রশংসা অর্জন করেছেন। তিনি অটোমেটেড ড্রাগ লাইসেন্সিং এন্ড রিনিউয়াল সিস্টেম, ফার্মাসি ম্যানেজমেন্ট সফ্টওয়্যার এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মীদের কাছে প্রযুক্তিগত জ্ঞান হস্তান্তর ছাড়াও অন্যান্য দৈনন্দিন প্রযুক্তিগত সমস্যাগুলি সমাধানের বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে নিজে উপস্থিত থেকে সহায়তা প্রদান করছেন।