বাংলাদেশে ফার্মেসি প্রাকটিসের মান বৃদ্ধির জন্য সরকারের মডেল ফার্মেসি উদ্যোগ একটি চমৎকার ধারণা
-আইসিডিডিআর'বি-র গবেষনা
[উপরের ছবিতে গবেষনা দলের সদস্যদের ছবি দেয়া হয়েছে]
আইসিডিডিআর,বি-র একটি গবেষনা দলকে নিয়োজিত করে বিএইচবি একটি গবেষনা কাজ হাতে নেয়। গবেষনার উদ্দেশ্য ছিল গ্রেড এ ফার্মাসিস্টদের মডেল মেডিসিন ফার্মেসি পরিচালনার কাজে উৎসাহী করা যাতে তারা এই পেশায় আকর্ষন অনুভব করে এবং এ পেশাতেই কাজ অব্যাহত রাখে। গবেষনার আরও একটি উদ্দেশ্য ছিল মডেল ফার্মেসি পরিচালনার জন্য গ্রেড বি ফার্মাসিস্টদের উপযুক্ততা যাচাই করে দেখা। ইতিমধ্যে গবেষনার কাজ শেষ হয়েছে এবং গবেষনা দল গত ২ জুলাই ২০২১ একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে গবেষনার ফল প্রকাশ করে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেণ মাহবুবুবুর রহমান এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
আইসিডিডিআর,বি গবেষনার কোয়ান্টিটেটিভ ও কোয়ালিটেটিভ উভয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই বাংলাদেশের ১৩টি জেলায় এই গবেষনাটি পরচিালনা করে। জেলাগুলোর সর্বমোট ১২৮টি মডেল ফার্মেসিতে ইনভেন্টরি জরিপ চালানো হয়। মোট ৯ জন গ্রেড এ ফার্মাসিস্ট এবং ৬ জন গ্রেড ফার্মাসিস্টের ইন-ডেফথ সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। এছাড়াও ৯ সরকারি ও বেসরকারি পেশাজীবিরও ইন-ডেফথ সাক্ষাৎকার নেয়া হ
যে সব কারণে গ্রেড এ ফার্মাসিস্টরা মডেল ফার্মেসি পরিচালনা পেশায় থাকতে অনুপ্রাণিত হয়
যদি গ্রেড এ ফার্মাসিস্টরা অধিকতর প্রশিক্ষণ ও জ্ঞানবৃদ্ধির সুযোগ পান এবং তাদের পছন্দের ভৌগলিক সীমারেখা এবং পরিবেশে কাজ করার সুযোগ পান তবে তারা মডেল ফার্মেসিতে কাজ করার আগ্রহ অব্যাহত থাকে। অন্যদিকে কম বেতন, কম সামাজিক মর্যাদা, দীর্ঘ কর্মঘন্টা (যা ৮ ঘন্টার অনেক বেশী) এবং ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে বেশী বেতনে কাজ করার সুযোগ তাদের ফার্মেসী পরিচালনার কাজ চালিয়ে যাওয়ার উৎসাহ কমিয়ে দেয়। এ কাজের সংগে সংশ্লিষ্ট অংশী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ অনিবন্ধিত ও নিম্ন মানের ঔষধ বিপনীগুলো যেন কাজ চালু না রাখতে পারে সেজন্য যথাযথ তদারকি ও তত্ত্বাবধান ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেছেন।
ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস ফর হেলথ নামক একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার বেটার হেলথ ইন বাংলাদেশ সংক্ষেপে বিএইচবি প্রকল্প বাংলাদেশ সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও অন্যান্য অংশী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সাথে পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশের খুচরা ঔষধের বিপনীগুলো পরিচালনার জন্য একটি আদর্শ মানদন্ড প্রস্তুত করেছে। ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক অনুমোদিত উক্ত আদর্শ মানদন্ডের আলোকে বিএইচবি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে প্রদেয় সহায়তার আওতায় খুচরা ঔষধ বিপনীগুলোর জন্য এক্রেডিটেশন কর্মসূচিপরিচালনা করছে। মানোত্তীর্ণ খুচরা ঔষধ বিপনীগুলোকে মডেল ফার্মেসী বা মডেল মেডিসিন শপ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
তারা আরও বলেছেন যে, মডেল ফার্মেসী ও মডেল মেডিসিন শপগুলোতে কাজ করার বিষয়ে উৎসাহিত করার পদক্ষেপ হিসেবে এক্ষেত্রে কর্মরত ফার্মাসিস্টদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
মডেল ফার্মেসি পরিচালনার জন্য গ্রেড বি ফার্মাসিস্টদের উপযুক্ততা
গ্রেড বি ফার্মাসিস্টরা নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতাকে মডেল ফার্মেসি পরিচালনার জন্য উপযুক্ত মনে করে। কিন্তু, বাংলাদেশ কেমিস্টস ও ড্রাগিস্টস সমিতি ও ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটগুলো নেতৃবৃন্দ গ্রেড বি ফার্মাসিস্টদের কারিকুলাম উন্নয়ন ও যথাযথভাবে প্রস্তুত করেই গ্রেড বি ফার্মাসিস্টদের মডেল ফার্মেসি বা মডেল মেডিসিন শপ পরিচালনার কাজে লাগানো উচিত বলে মনে করেন।