বিএইচবি ‘খুচরা ওষুধ বিপনীকে এক্রেডিটেশন সনদ প্রদান বিষয়ক প্রাক-মূল্যায়ন ২০২১’ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে

‘বেসরকারী ওষুধের দোকানগুলির মধ্যে মানসম্পন্ন দোকানগুলিকে এক্রেডিটেশন সনদ প্রদানের নিমিত্তে একটি কর্মসূচি রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের। এতে কারিগরি সহায়তা প্রদান করে থাকে বিএইচবি। এক্রেডিটেশন সনদ প্রদানের জন্য বেসরকারি ওষুধের দোকানগুলির বেশ কয়েকটি ধাপে মূল্যায়ন করা হয়। নিচের বক্সে ধাপগুলি দেখানো হয়েছে। ধাপগুলির প্রথমটি হলো ওষুধের দোকানগুলির প্রাক-মূল্যায়ন। ২০২১ সালের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০,০০০টি ওষুধের দোকানের প্রাক-মূল্যায়ন করা। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। ৬ জুলাই ২০২১ পর্যন্ত মূল্যায়নকৃত ওষুধের দোকানের সংখ্যা ১০,৬৯৭ যা লক্ষ্যমাত্রার ১০৭%।

ব্যক্তিগত ওষুধের দোকানগুলির স্বীকৃতির জন্য প্রয়োজনীয় ছয়টি পদক্ষেপ

  1. বিএইচবির অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগকৃত মাঠ পরিদর্শকদের মাধ্যমে বেসরকারী ওষুধের দোকানগুলির প্রাক-মূল্যায়ন করা। প্রাক-মূল্যায়নে ওষুধের দোকানগুলি ন্যূনতম ৩টি মানদণ্ড পূরণ করেছে কিনা তা দেখা হয়। এগুলো হলোঃ একটি বৈধ ড্রাগ লাইসেন্স, নিবন্ধিত ফার্মাসিস্ট বা ফার্মাসি টেকনিশিয়ানের উপস্থিতি এবং ওষুধের দোকানের কমপক্ষে ১২০ বর্গফুট মেঝের আয়তন।
  2. প্রাক-মূল্যায়নে প্রাপ্ত নূন্যতম মানসম্পন্ন ওষুধের দোকানগুলিতে ওষুধ বিপনন কাজে নিয়োজিত কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান।
  3. প্রশিক্ষণ লাভের পর বিপনন কাজে কর্মীরা যাতে ওষুধের দোকানের পরিবেশ এবং নিজের বিপনন পদ্ধতিতে উন্নতি ঘটাতে পারে সেজন্য তাদের কিছুটা সময় দেয়া যাকে সাধারণতঃ উইন্ডো পিরিয়ড বলা হয়ে থাকে।
  4. বিএইচবির অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগকৃত মাঠ পরিদর্শকদের মাধ্যমে উইন্ডো পিরিয়ড পরবর্তিকালে ওষুধের দোকানগুলির পূনঃমূল্যায়ন করে দেখা যে, এগুলির মধ্যে যে দোকানগুলি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত মানদণ্ড অর্জন করেছে।
  5. পূনঃমূল্যায়নে প্রাপ্ত মানসম্পন্ন ওষুধের দোকানগুলি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং বিএইচবি-র যৌথ দল কর্তৃক পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট ওষুধের দোকানগুলি স্বীকৃতি লাভের যোগ্যতা অর্জন করেছে কিনা তা পূনঃযাচাইকরণ।
  6. মডেল ফার্মেসি বা মডেল মেডিসিন শপ হিসাবে ঐ ওষুধের দোকানগুলিকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক এক্রেডিটেশন সনদ প্রদান। 

বিএইচবি এখন ওষুধের দোকানগুলির প্রাক-মূল্যায়ন ফলাফলের উপর ভিত্তি করে নির্বাচিত নূন্যতম মানসম্পন্ন ওষুধের দোকানগুলিতে ওষুধ বিপনন কাজে নিয়োজিত কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করছে।  প্রাক-মূল্যায়ন কর্মসূচির মধ্যবর্তি পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছিল। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে প্রশিক্ষণ পদ্ধতিটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পরিবর্তন করা হয়েছে। পৃথক সেশনে অংশগ্রহণকারীদের বেশ কয়েকটি ব্যাচ একই সাথে প্রশিক্ষণটিতে অংশ নিচ্ছে। ৩১ অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত ১,৫৬০ জন অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে। যারা প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন বা পরবর্তিতে শেষ করবেন তারা স্ব স্ব ওষুধের দোকানের পরিবেশ এবং বিপনন পদ্ধতি মানদন্ড অনুযায়ী উন্নত করবেন যাতে তারা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও বিএইচবি’র যৌথ দল কর্তৃক পরিদর্শনের পর মানসম্পন্ন ওষুধের দোকানগুলি এক্রেডিটেশন সনদ অর্জন করতে পারে। এক্রেডিটেশন সনদপ্রাপ্ত ওষুধের দোকানগুলিকে মডেল ফার্মেসি বা মডেল মেডিসিন শপ হিসাবে অভিহিত করা হয়।