BHB Newsletter

২০২২ সালে ৪,০০০ খুঁচরা ঔষধ বিপনীকে এক্রেডিটেশন সনদ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ২,৪১৯ অর্জন

সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক বেটার হেলথ ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগিতায় ২০২২ সালে ৪,০০০ খুঁচরা ঔষধ বিপনীকে মডেল ফার্মেসি / মডেল ঔষধ বিপনী হিসেবে এক্রেডিটেশন সনদ প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে। জুন ২০২২-এর মধ্যে ২,৪১৯টি খুঁচরা ঔষধ বিপনীকে এক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৬০ ভাগ। এক্রেডিটেশন সনদ প্রদানের পর খুঁচরা ঔষধ বিপনীগুলোকে মডেল ফার্মেসি বা মডেল মেডিসিন শপ হিসেবে গণ করা হয়।

নিম্নোক্ত ৫টি ধাপে এক্রেডিটেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ঃ

  1. বিএইচবি কর্তৃক প্রাক-যাচাইয়ে বিপনীগুলোর ৩টি সক্ষমতা (ঔষধ বিপনীটির একটি বৈধ ড্রাগ লাইসেন্স; বিপনীতে কর্মরত একজন রেজিষ্ট্রেশনপ্রাপ্ত ঔষধ বিপননকারী; এবং বিপনীটির কমপক্ষে ১২০ বর্গফুট ফ্লোর স্পেস) থাকা
  2. সন্তোষজনক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রেজিস্টার্ড বিপননকারীকে বিএইচবি কর্তৃক গুড ফার্মেসি প্রাকটিস বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান
  3. প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর ঔষধ বিপনীগুলোকে সময় দেয়া যাতে তারা নির্ধারিত ১২টি মানদন্ড অর্জন করতে সক্ষম হয়
  4. বিএইচবি-র নির্ধারিত কর্মী কর্তৃক একাধিক পরবর্তি-যাচাই পরিদর্শন ও সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে বিপনীটিকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা
  5. ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা কর্তৃক চুড়ান্ত পরিদর্শনপূর্বক এক্রেডিটেশন সনদ দেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

এক্রেডিটেশন সনদ প্রদানের জন্য নির্ধারিত ১২টি মানদন্ড হলোঃ

  1. বিপনীটির বৈধ ড্রাগ লাইসেন্স থাকা
  2. একজন রেজিস্টার্ড বিপননকারী থাকা
  3. কমপক্ষে ১২০ বর্গফুট ফ্লোর স্পেস থাকা
  4. বিপননকারীর বিএইচবি-র গুড ফার্মেসি প্রাকটিস বিষয়ক প্রশিক্ষণ থাকা
  5. বিপনীতে রোগীকে পরামর্শ প্রদানের ব্যবস্থা থাকা
  6. বিপনীটি কর্তৃক উপযুক্ত চিকিৎসকের পরামর্শপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক ঔষধ বিক্রি না করা
  7. বিপনীটি কর্তৃক বিক্রয়কৃত এন্টিবায়োটিকের রেজিস্টার রাখা
  8. বিপনীটিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ আলাদাভাবে রাখার জন্য লেবেলযুক্ত কনটেইনার থাকা
  9. মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধের রেজিস্টার থাকা
  10. বিপনীটিতে কক্ষের তাপমাত্রা পরিমাপক থার্মোমিটার থাকা
  11. বিপনীটিতে তাপমাত্রা পরিমাপক থার্মোমিটারসহ কার্যকর রেফ্রিজারেটর থাকা
  12. বিপনীটি কর্তৃক ক্রয়কৃত ঔষধপত্রের ইনভয়েস সংরক্ষণ করা

২০২১ সালে বিএইচবি ১০,৬৯৭টি খুঁচরা ঔষধ বিপনীতে প্রাক-যাচাই কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর মধ্যে সক্ষমতাপ্রাপ্তি সাপেক্ষে ৬,২০৬ জন রেজিস্টার্ড ঔষধ বিপননকারী গুড ফার্মেসি প্রাকটিস বিষয়ে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন  করে। প্রশিক্ষিত বিপননকারীরা এখন ১২টি মানদন্ডের ভিত্তিতে স্ব স্ব ঔষধ বিপনীগুলোর মানোন্নয়নের প্রচেষ্টায় নিয়োজিত। বিএইচবি-র এক্রেডিটেশন এসোসিয়েটগণ তাদের সহযোগিতা প্রদান করছে। কোন এক বা একাধিক ঔষধ বিপনী মানদন্ড অর্জন করেছে মর্মে প্রতীয়মান হলে এক্রেডিটেশন এসোসিয়েটগণ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে অবহিত করছেন এবং ঐ কর্মকর্তা তখন বিএইচবি কর্মীকে সাথে নিয়ে উক্ত বিপনীটি চুড়ান্ত পরিদর্শন করছেন। ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত ২,৫৪৫টি ঔষধ বিপনী চুড়ান্তভাবে পরিদর্শন করা হয়। এর মধ্যে ২,৪১৯টিই মানোত্তীর্ণ হিসেবে এক্রেডিটেশন সনদ প্রদানের জন্য অনুমোদন পায়। শতকরা হার ৯৫% যা বিএইচবি কর্তৃক পরিচালিত প্রাক-যাচাই, প্রশিক্ষণের জন্য ঔষধ বিপননকারী নির্বাচন, প্রশিক্ষণ, ঔষধ বিপননকারী এবং বিএইচবি-র কর্মীগণের মান ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা নির্দেশ করে।