টেকনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যগণকে প্রকল্পের অগ্রগতি অবহিত করলো বিএইচবি

বেটার হেলথ ইন বাংলাদেশ (বিএইচবি) প্রকল্পের সার্বিক তত্ত্বাবধানের জন্য একটি টেকনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটি (টিএমসি) রয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ডাঃ মোহাম্মদ ইউসুফ। তার সভাপতিত্বে কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠিত হয় গত ২৩ মার্চ ২০২৩ তারিখে। সভার শুরুতে বিএইচবি-র কান্ট্রি প্রজেক্ট ডিরেক্টর অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ সভাটির আলোচ্য বিষয়সমূহের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। এরপর বিএইচবি-র পক্ষ থেকে প্রকল্পের অগ্রগতি এবং হালনাগাদ তথ্য সম্বলিত একটি উপস্থাপনা প্রদান করা হয় যা সংক্ষেপে নীচে তুলে ধরা হলোঃ

  • প্রকল্পের শুরু থেকে বিএইচবি ১৯,৬৩২টি খুচরা ঔষধ বিপনীতে প্রাক-যাচাই সম্পন্ন করেছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা ২৩ হাজারটিতে সম্পন্ন করা।
  • বিএইচবি প্রকল্পের শুরু থেকে ১১,৫৭৭ জন গ্রেড-সি ফার্মেসি টেকনিশিয়ানকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা ১৪,০০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা। আগামী দু’বছরে ২,৫০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
  • ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মডেল মেডিসিন শপ/ মডেল ফার্মেসি কার্যক্রমে সক্রিয় সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৬,৭৩৫টি খুচরা ঔষধ বিপনীকে এক্রেডিটেশন স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা ১০,০০০ খুচরা ঔষধ বিপনীকে এক্রেডিটেশন স্বীকৃতি প্রদান করা।
  • বিএইচবি-র সহযোগিতায় নির্মিত ফার্মেসি ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারটির মাধ্যমে খুচরা ঔষধ বিপনীগুলো তাদের দৈনন্দিন ইনভেন্টরি ব্যবস্থাপনার কাজ সারতে পারছেন। বর্তমান ব্যবহারকারি সংখ্যা ৪৫১ যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৯০০-তে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
  • বিএইচবি-র সহযোগিতায় নির্মিত পিসিবি অটোমেশন সিস্টেমটিও এখন পুরোদমে কাজ ব্যবহৃত হচ্ছে। পিসিবি সফটওয়্যারটির পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করেছে এবং স্ব-উদ্যোগেই তা পরিচালনা করছে। ফার্মাসিস্ট এবং ফার্মেসি টেকনিশিয়ানদের নিবন্ধন এবং নিবন্ধন নবায়ন সংক্রান্ত সকল কাজ এখন এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে সম্পাদিত হচ্ছে।
  • বিএইচবি-র সহযোগিতায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের জন্য নির্মিত অটোমেটেড ড্রাগ লাইসেন্সিং এ্যান্ড রিনিউয়াল সিস্টেমটিও (এডিএলআরএস) খুচরা ঔষধ বিপনীর জন্য নুতন ড্রাগ লাইসেন্স প্রাপ্তি এবং ড্রাগ লাইসেন্স নবায়নের অনলাইন আবেদন গ্রহণ করা সহ অন্যান্য যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। কমিটির চেয়ারম্যান ঘোষনা করেন যে, ২০২৪ সালের শুরু থেকে এনালগ পদ্ধতিতে ড্রাগ লাইসেন্স ইস্যু সংক্রান্ত আর কোন কাজ এনালগ পদ্ধতিতে করা হবে না এবং এ সংক্রান্ত সব কার্যক্রম এডিএলআরএস-এর মাধ্যমে সম্পাদন করা হবে।

অন্যান্যের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. ইয়াহহিয়া; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মনিরা পারভীন; পিসিবি-র সচিব মোঃ মাহবুবুল হক; ক্যাবের প্রতিনিধি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শামস খান; বিসিডিএস-এর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মো. আব্দুল হাই; এফসিডিও-র হিউম্যান রিসোর্স টিমের টিম লিডার ফাহমিদা শবনম ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টা যথাক্রমে ডাঃ রশিদ জামান ও ডাঃ শফিকুল ইসলাম;  ইউএসপি-পিকিউএম+-এর চিফ অব পার্টি ডাঃ উমর খৈয়াম; এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বাংলাদেশের প্রতিনিধি উম্মে হাবিবা।

সভায় উপস্থিত সদস্যগণ অব্যাহতভাবে অগ্রগতির ধারা বজায় রাখার জন্য বিএইচবি-র ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এ ধরণের গণমুখী কার্যক্রম পরিচালনার্থে আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য এফসিডিও-কে ধন্যবাদ জানান। সমাপনী ভাষনে সভার সভাপতি প্রকল্পের কাজে তার সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।