মডেল মেডিসিন শপ – বাংলাদেশের ভোক্তাদের জন্য নিরাপদ ওষুধ প্রাপ্তি নিশ্চিত করার পথ

মডেল মেডিসিনের শপ কী?

২০১৮ সালে চালু হওয়া এমএসএইচ-এর বিএইচবি প্রকল্পের আগে ঔষধ সংরক্ষণ ও বিক্রির জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত খুচরা ঔষধের দোকানগুলির জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক কোন মানদণ্ড নির্ধারিত ছিলনা। বিএইচবির সহায়তায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এ লক্ষ্যে একটি স্ট্যান্ডার্ড গাইডলাইন তৈরি করেছে ও তা প্রয়োগ করছে। অ্যাক্রেডিটেশন প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে: ঔষধের দোকানগুলি মূল্যায়ন করা, ঔষধ বিপননকারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং  দোকানের আদর্শ মান পূরণ হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের জেলা কর্মকর্তা কর্তৃক সশরীরে পরিদর্শন করা। যোগ্যতা অর্জনকারী ঔষধের দোকানগুলিকে তাদের গ্রেডিংয়ের ভিত্তিতে মডেল মেডিসিন শপ বা মডেল ফার্মেসি হিসাবে মনোনীত করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক স্বীকৃতি সনদ প্রদান করা হয়। একবার স্বীকৃত হলে এই দোকানগুলি গ্রাহক এবং অংশীদারদের জন্য দৃশ্যমানভাবে সরকারী লোগো প্রদর্শন করে থাকে।

একটি মডেল মেডিসিন শপ অথবা একটি মডেল ফার্মেসির আদর্শ আচরণ

  • বৈধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করে না।
  • বিতরণ করা অ্যান্টিবায়োটিকের একটি রেজিস্টার সংরক্ষণ করে।
  • মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধগুলি সনাক্ত করে এবং নিরাপদে ডিসপোজ করে।
  • তাপমাত্রা সংবেদনশীল ঔষধগুলি উপযুক্ত এবং কার্যকরী রেফ্রিজারেটরে সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করে।
  • ওষুধ বিতরণের সময় ক্লায়েন্টদের পর্যাপ্ত পরামর্শ প্রদান করে।
  • বিক্রয় করার সময় ঔষধের ডোজ ও টাইমিং লিখে ওষুধগুলি প্যাক করে প্রদান করে।
  • কমপক্ষে দুই বছরের জন্য সমস্ত সরবরাহকারীরে ইনভয়েজ সংরক্ষণ করে।
প্রকল্পের সব লক্ষ্যমাত্রা (২০১৮-২০২৪) অর্জিত হয়েছে
সূচক লক্ষ্য অর্জিত
কতটি ঔষধের দোকানের প্রাক-মূল্যায়ন হয়েছে ২৩,০০০ ২৩,০৯৩
গুড ফার্মেসি বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঔষধ বিপননকারীর সংখ্যা ১৪,০০০ ১৪,১২৯
কতটি ঔষধের দোকান অ্যাক্রেডিটেশন সনদ পেয়েছে ১০,০০০ ১০,৩৪৫