লাল রংয়ের মোড়কে বিশেষ নির্দেশনাযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক বাজারজাতকরণ কী?
বেসরকারি ওষুধের দোকানগুলো বাংলাদেশের ভোক্তাদের অন্যতম বৃহৎ ওষুধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রয়যোগ্য নয় এমন ঔষধও বাংলাদেশে প্রায়শই প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি হয়। ২০২১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বাংলাদেশ ও ফ্লেমিং ফান্ডের সহযোগিতায় একটি বেইজলাইন জরিপ পরিচালনা করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। জরিপটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালস, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স এবং ভোক্তা কর্তৃক নিজেরাই ঔষধ ক্রয় ও ব্যবহারের প্রভাব বিষয়ে ঔষধ বিপননকারী ফার্মেসি পেশাজীবিদের সচেতনতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। বাংলাদেশের ৮টি বিভাগে ৪২৭টি ঔষধের দোকানে পরিচালিত এই জরিপে দেখা গেছে, ৬৭ দশমিক ৩ শতাংশ উত্তরদাতার অ্যান্টিবায়োটিক সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই এবং নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিতরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এ বিষয়টি তারা অবগত নন। অত:পর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ঔষধ প্রস্তুতকারক কোম্পানীগুলোকে একটি নির্দেশনা প্রদান করে যেন তারা বাজারজাতকরণের আগে অ্যান্টিবায়োটিকের স্ট্রিপ এবং মোড়কগুলিতে লাল-লেবেলযুক্ত সতর্কতা বার্তা ব্যবহার করে। সতর্ক বার্তাটি এরূপ: “অ্যান্টিবায়োটিক, রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ব্যবহার করবেন না।“
অ্যান্টিবায়োটিকের যৌক্তিক ব্যবহার প্রসারের জন্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে এই পদক্ষেপটি অন্যতম।
লাল রংয়ের মোড়কে সতর্ক বার্তা যুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক বাজারজাতকরণ বিষয়ে বিএইচবি-র জরিপ
এমএসএইচ-এর বিএইচবি প্রকল্প অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ বিষয়ে ফেসবুক প্রচারণার অংশ হিসাবে ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে একটি সংক্ষিপ্ত অনলাইন জরিপ শুরু করে। সরকারের এই নতুন নির্দেশনায় ঔষ বিপননকারীদের কাছ থেকে উত্তর সংগ্রহ করা হয়। জরিপটি ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ পর্যন্ত দুই সপ্তাহ ব্যাপী তথ্য সংগ্রহ করেছে। উত্তরদাতার সংখ্যা ছিল ৩০২ জন। ফলাফলে দেখা যায় যে উদ্যোগটি কাজ করছে।
জরিপের ফল
- ৭৭.৮% ঔষধ বিপননকারী মনে করেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরর এই উদ্যোগ বাংলাদেশে অ্যান্টিবায়োটিকের যৌক্তিক ব্যবহারে ধীরে ধীরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে
- ৯৫.৭% উত্তরদাতা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরর অ্যান্টিবায়োটিক রেড লেবেলিং নির্দেশনা সম্পর্কে অবগত
- ৯৭.৪% ঔষধের দোকানে লাল লেবেলযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয়ের জন্য মজুদ ছিল।
- ৯৫.৪% ঔষধ বিপননকারী তাদের ক্লায়েন্টদের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
আসুন একসাথে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের বিরুদ্ধে লড়াই করি