বিএইচবি খুঁচরা ঔষধ বিপনীগুলোতে কর্মরত ফার্মেসি পেশাজীবিদের গুড ফার্মেসি প্রাকটিসের উপর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। প্রশিক্ষণে সফলকাম ফার্মেসি পেশাজীবিরা পরবর্তিতে স্ব স্ব ঔষধ বিপনীর মান আদর্শ স্তরে উন্নীত করে এবং বিপননের আচরণে কাঙ্খিত পরিবর্তন ঘটায়। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের জেলা কর্মকর্তা উক্ত ঔষধ বিপনী পরিদর্শন করে উন্নীত মান এবং বিপনন আচরণে সন্তুষ্ট হলে ঔষধ বিপনীটিকে মডেল মেডিসিন শপ বা মডেল ফার্মেসি হিসেবে সনদ প্রদান করা হয়। সময়ের ব্যবধানে এ ধরণের ঔষধ বিপনীগুলো আদর্শ মান এবং বিপনন আচরণ ধরে রাখছে কিনা সেটি একটি বড় প্রশ্ন। এই প্রশ্নটির উত্তর খুঁজতে বিএইচবি গুড ফার্মেসি প্রাকটিস মূল্যায়ন জরিপ করে থাকে। ইতিপূর্বে ২০২২ সালে একটি জরিপ পরিচালিত হয়েছিল। নুতন একটি জরিপ হয়েছে ২০২৪ সালের জুন থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত। ২৯টি জেলার ৮৭৪টি ঔষধ বিপনীর প্রতিটি থেকে একজন করে ফার্মেসি পেশাজীবি জরিপে অংশ নেয়; ৮৬২টি (৯৮.৬%) ছিল মডেল মেডিসিন শপ এবং ১২টি (১.৪%) ছিল মডেল ফার্মেসি। ফার্মেসি পেশাজীবিদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই ছিল গ্রেড সি ফার্মেসি টেকনিশিয়ান (৮৫৫ জন; ৯৭.৫%)। গ্রেড এ ফার্মাসিস্ট ছিল ৮ জন (০.৯%); গ্রেড বি ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট ছিল ৫ জন (০.৬%) এবং অন্যান্য ৬ জন (০.৭%)। উত্তরদাতাদের বয়স ২২ থেকে ৮২ বছরের মধ্যে। ৮৭৪ জন উত্তরদাতার মধ্যে নারীর সংখ্যা ছিল ১২ (১.৪%)।
২০২৪ সালের জরিপটিতে প্রাপ্ত ফলাফল উল্লেখ করার মত ইতিবাচক। কেননা অধিকাংশ সূচকেই ২০২২ সালের জরিপের তুলনায় উন্নতি পরিলক্ষিত হয়েছে। যেমন ২০২৪ সালের জরিপ অনুযায়ী ৮২.৭% উত্তরদাতাই চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত এন্টিবায়োটিক ঔষধ বিপনন করে না। যেটি ২০২২ সালের জরিপ অনুযায়ী ছিল ৩৩.৭%।
চার্টে ২০২২ ও ২০২৪ সালের জরিপের ফলাফলের তুলনা দেখানো হলো।