এন্টিবায়োটিকস রেজিস্ট্যান্স একটি ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে সর্বজনীন বিশ্বাস এই যে, যদি এন্টিবায়োটিকসের অযৌক্তিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তবে নুতন আবিস্কৃত এন্টিবায়োটিকসগুলোসহ বেশীরভাগ এন্টিবায়োটিকসই জীবানুনাশে অকার্যকর হয়ে পড়বে। এ অবস্থায় এন্টিবায়োটিকস প্রস্তুতকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো এন্টিবায়োটিকস জাতীয় ঔষধ প্রস্তুতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। কেননা বাজারজাত করার পর স্বল্পতম সময়ের মধ্যে কার্যকারিতা হারিয়ে ফেললে ঐ এন্টিবায়োটিকস-এর জন্য বিনিয়োগ উঠে আসবে না।
এন্টিবায়োটিকসজনিত এই সমস্যা এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে যে, অগণিত মানুষ কার্যকর এন্টিবায়োটিকস না পেয়ে সাধারণ সংক্রমণেই মৃত্যু বরণ করতে পারে। শল্য চিকিৎসার পরেও সংক্রমণঘটিত কারণে অনেকের মৃত্যু হবে। অনেক দেশের মত বাংলাদেশেও এন্টিবায়োটিকসয়ের অযৌক্তিক ব্যবহার আশংকাজনক। যুক্তরাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ বিভাগ দেশটির ফ্লেমিং ফান্ড নামে একটি সংস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে এন্টিবায়োটিকস রেজিস্ট্যান্স নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। বাংলাদেশও এই উদ্যোগের অংশ। সম্প্রতি ঐ বিভাগের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। দলটি গত ১৬ আগস্ট ২০২৩ তারিখে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ১৭ আগস্ট ২০২৩ তারিখে বিএইচবি-র কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। আলোচনায় মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল এন্টিবায়োটিকস রেজিস্ট্যান্স নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে ফ্লেমিং ফান্ডের কাজ আরও কিভাবে ফলপ্রসু করা যায় তা জানা। আরও জানতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।