বিএইচবি বাংলাদেশের খুচরা ঔষধের বিপনীগুলোকে এক্রেডিটেশন সনদ প্রদান সংক্রান্ত ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উদ্যোগে কারিগরি সহায়তা প্রদান করে থাকে। কোন একটি খুচরা ঔষধ বিপনীকে এক্রেডিটেশন সনদ প্রদানের জন্য ৬টি ধাপে অগ্রসর হতে হয়ঃ
খুচরা ঔষধ বিপনীকে এক্রেডিটেশন সনদ প্রদানের জন্য ৬টি ধাপ
|
২০২১ সালের জুন থেকে অক্টেবর মাস পর্যন্ত দেশের ৩২টি জেলায় ১০,৬৯৭টি খুচরা ঔষধ বিপনীতে প্রাক-যাচাই সম্পন্ন করা হয়। যা লক্ষ্যমাত্রা ১০,০০০-এর শতকরা ১০৭ ভাগ। পরিদর্শিত ১০,৬৯৭টি ঔষধ বিপনীর মধ্যে ৭,১৯৩টিকে সংশ্লিষ্ট ডিসপেন্সার প্রশিক্ষণের জন্য মনোনীত করা হয়। ফেব্রুয়ারী ২০২২ পর্যন্ত ৪,৯৪৯ জন ডিসপেন্সারের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রশিক্ষণের মেয়াদ ১২ দিন। ৬,০০০ জন ডিসপেন্সারকে প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। কাজেই সে সময় পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৮২.৫ ভাগ অর্জিত হয়েছে। এপ্রিল ২০২২ নাগাদ প্রশিক্ষণ শেষ হবে এবং লক্ষ্যমাত্রা অজির্ত হবে বলে আশা করা যায়।
এক্রেডিটেশন সনদ প্রদান প্রক্রিয়ার তৃতীয় ধাপ হলো পরবর্তি যাচাই। ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ৪,৯৪৯টি ডিসপেন্সারের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। এদের পরবর্তি যাচাই প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বিএইচবি এ কাজের জন্য ফেব্রুয়ারী ২০২২-এ ১১ জন এক্রেডিটেশন এসোসিয়েট ও একজন কোঅর্ডিনেটর নিয়োগ করেছে এবং তাদের কাজের সুবিধার্থে একটি ইলেক্ট্রনিক টুল তৈরি করে দিয়েছে এবং তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়েছে। উল্লেখ্য যে, ইলেক্ট্রনিক টুলটি পরবর্তি যাচাই কাজে ব্যবহার শুরুর আগে মাঠ পর্যায়ে হাতে-কলমে পরীক্ষা করা হয়েছে। এক্রেডিটেশন এসোসিয়েট ও একজন কোঅর্ডিনেটররা নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের পরপরই সংশ্লিষ্ট জেলাসমুহে নির্ধারিত কাজ শুরু করেছে যা চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিএইচবি’র বিভিন্ন কার্যক্রম যুক্তরাজ্য সরকারের ফরেন, কমনওয়েলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-এর সহায়তায়তায় বাস্তবায়িত হয়।