BHB Newsletter

২০২১ সালে ১০ হাজার খুচরা ঔষধ বিপনী বিতানকে এক্রেডিটেশন সনদ প্রদানের নিমিত্ত প্রাক-মূল্যায়ন করা হবে

বাংলাদেশের জনগণ মূলতঃ খুচরা ঔষধের দোকান থেকেই ঔষধ ও অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রি কিনে থাকেন। কিন্তু, অতীতে ঔষধ বিপনীগুলোকে এজন্য কোন আদর্শ মান ও আচরণবিধি প্রতিপালনের প্রয়োজন হতো না। এই অবস্থা নিরসনে বেসরকারি খাতের খুচরা ঔষধের বিপনীগুলোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এক্রেডিটেশন কর্মসূচি চালু করেছে। এক্রেডিটেশন সনদপ্রাপ্ত ঔষধ বিপনীগুলোকে আকারভেদে ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্যভেদে মডেল ফার্মেসি বা মডেল মেডিসিন শপ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এক্ষেত্রে বেটার ইন বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে সহায়তা প্রদান করছে।

বেটার হেল্‌থ ইন বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস ফর হেল্‌থ (এমএইচএস)-এর একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পটির দাতা সংস্থা এফসিডিও (ফরেন, কমনওয়েলথ এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস) যা আগে ইউকেএই্ড নামে সমধিক পরিচিত ছিল। বিএইচবি বাংলাদেশে গুড ফার্মেসি প্রাকটিস বা খুচরা ঔষধ বিপননে আদর্শ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে কাজ করছে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক্রেডিটেশন কর্মসূচির ৬টি ধাপ রয়েছে

  • প্রশিক্ষিত পরিদর্শক কর্তৃক ঔষধের বিপনীগুলোর প্রাক-যাচাই সম্পন্ন করা হয়।
  • প্রাক-যাচাইয়ে উত্তীর্ণ বিপনীগুলোর ঔষধ বিক্রেতা ফার্মেসিস্টগণকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। যাতে তারা গুড ফার্মেসি প্রাকটিস বিষয়টি বুঝতে পারে এবং তা স্ব স্ব দোকানে বাস্তবায়ন করে ঔষধ বিপনী ও বিপননকে আদর্শ মানে উন্নীত করে।
  • ঔষধের বিপনীর মালিক এবং ঔষধ বিক্রেতাকে প্রশিক্ষণের পর একটি সময় বেঁধে দেয়া হয় পরিবতর্নগুলো প্রয়োগের জন্য।
  • এরপর প্রশিক্ষিত পরিদর্শক পরবর্তি যাচাই কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
  • পরবর্তি যাচাইয়ে উত্তীর্ণ ঔষধ বিপনীগুলো ঔষধ প্রশাসন ও বিএইচবি-র যৌথ প্রতিনিধিদল পরিদর্শন করে।
  • যে সকল ঔষধের বিপনী যৌথ পরিদর্শনে উত্তীর্ণ হয় সেগুলোকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর আকার ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্যভেদে মডেল ফার্মেসি অথবা মডেল ঔষধ বিপনী হিসেবে এক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করে।

২০২১ সালে বিএইচবি ১০,০০০ ঔষধ বিপনীতে প্রাক-যাচাই সম্পন্ন করবে। দেশে করোনা রোগের বিস্তৃতি স্বত্ত্বেও এই কাজ বন্ধ করা হয়নি। বিএইচবি এজন্য ৩৩ জন্য অভিজ্ঞ পরিদর্শক নিয়োগ করেছে (৩২ জন গণনাকর্মী বা ইনিউমারেটর এবং একজন মাঠ সমন্বয়কারী)। তাদের অনলাইনে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। গত ৭ জুন ২০২১ থেকে প্রাক-যাচাই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই নিউজলেটারটি প্রকাশের দিন পর্যন্ত তারা প্রায় ৮,০০০ ঔষধ বিপনীতে প্রাক-যাচাই সম্পন্ন করেছে। উল্লেখ্য, পূর্ববর্তি বছরগুলোতে বিএইচবি সহায়তায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ২,১৯৩টি ঔষধ বিপনীকে এক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করেছে। এসব বিপনী এখন অত্যন্ত সুনামের সাথে মডেল ফার্মেসি অথবা মডেল ঔষধ বিপনী হিসেবে কাজ করছে। এ বিষয়ে নীতি-নির্ধারক ও ঔষধ বিপনীগুলোর মধ্যে যথেষ্ঠ উৎসাহ পরিলক্ষিত হচ্ছে।