BHB Newsletter

ফার্মেসি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের হালখবর

সকলেই ওয়াকিবহাল যে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে বিএইচবি ফার্মেসি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারটির নতুন একটি ভার্সন প্রকাশ করেছে। সফটওয়্যারটির ৩টি ভার্সন আছে যথাক্রমে ডেস্কটপ, ওয়েব এবং এন্ড্রয়েড অ্যাপ। নতুন ভার্সনে নিম্নোল্লেখিত বিষয়গুলোতে উন্নয়ন করা হয়েছেঃ

  • ক্রয় এবং বিক্রয়ের জন্য পণ্য নির্বাচনে ডোজেজ ফরম যোগ করা হয়েছে
  • ব্যবহারকারীরা অননুমোদিত ক্রয় এবং বিক্রয় অর্ডার মুছে ফেলতে বা ডিলিট করতে পারবে
  • এ্যন্ড্রয়েড ভার্সনে বিক্রয়ের সময় ইনভয়েস প্রিন্ট করার সুবিধা পাবেন
  • ব্যবহারকারীরা তাদের মোবাইল ফোনে বিক্রয় চালান সংরক্ষণ করতে পারেন এবং মেসেজিং এ্যাপের গ্রাহকদের সাথে তা শেয়ার করতে পারবেন।

সফটওয়্যারটির মাধ্যমে ঔষধের দোকানে কী পরিমানে ঔষধ প্রেসক্রিপশনসহ এবং প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রয় হলো তা ট্রাকিং করা যায়। সফটওয়্যারটি মেয়াদোর্ত্তীণ ঔষধ চিহ্নিত করে। ফলে সঠিক সময়ে সেগুলো যথাযথভাবে অপসারণ করা সম্ভব হয়। এটি ঔষধের দোকানের অন্যান্য নিয়মিত তথ্য ও হিসাব যেমন দৈনিক, মাসিক এবং বার্ষিক ভিত্তিতে ক্রয়, বিক্রয় এবং লাভ-ক্ষতির হিসাব ইত্যাদি ব্যবহারকারীবান্ধব ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে উপস্থাপন করে।

সফটওয়্যারটির একটি প্রচারণামূলক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা হয়েছে। লিংকটি নীচে দেয়া হলো। https://youtu.be/GoxBWdYre_Q?si=hyO8V7TiCG_m95iq

ফার্মেসি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারটির একজন ব্যবহারকারী জনাব রায়হানুল ইসলাম, ঢাকা থেকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন-

প্রশ্ন ১। আপনি আপনার ঔষধের দোকান পরিচালনায় কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন কী?

উত্তরঃ জি, আমি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বেটার হেল্‌থ ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে নির্মিত ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ফার্মেসি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারটি ব্যবহার করছি।

প্রশ্ন ২। ফার্মেসি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার (পিএমএস) ব্যবহারে আপনি কেন ব্যবহার করেন?

উত্তরঃ ফার্মেসি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার (পিএমএস) ব্যবহার করে আমার ফার্মেসিতে ঔষধের মজুদ ব্যবস্থাপনা, ঔষধ ক্রয়-বিক্রয় ব্যবস্থাপনা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ট্র্যাকিং সহ দৈনন্দিন ব্যবসার হিসাব সহজেই রাখতে পারি।

প্রশ্ন ৩। পিএমএস সফটওয়্যারটি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় কতটুকু কার্যকরী ভূমিকা রাখছে?

উত্তরঃ পিএমএস সফটওয়্যারটি ব্যবহারের পূর্বে কোন ঔষধের মজুদ কেমন আছে বা কোন ঔষধ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে কিনা বা অল্প সময়ের ব্যবধানে মেয়াদোত্তীর্ণ হবে কিনা তা আগে তাক থেকে খুঁজে পেতে অনেকটা সময় লাগতো। এখন সফটওয়্যারের মাধ্যমে সহজেই খুঁজে পাই। এতদিন খাতায় এন্ট্রি করে এ সকল হিসাব রাখতে হতো। ফলে অনেক সময় সঠিক তথ্য পেতাম না। এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই সহজে এ সকল তথ্য হাতের নাগালেই পাই। এ ছাড়াও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ আলাদা করে খুঁজতে হয় না। কারণ সফটওয়্যার নোটিফিকেশন পাঠায়। ফলে আমি গ্রাহককে কাউন্সেলিং করার যথেষ্ট সময় পাই। এসব কারণে আমার ফার্মেসিতে নতুন গ্রহকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রশ্ন ৪। আপনি কি অন্যান্য ওষুধ ব্যবসায়ীদের এই সফটওয়্যারটি ব্যবহারে পরামর্শ দিবেন?

উত্তরঃ অবশ্যই, আমি চাইবো ফার্মসিস্টরা তাদের ফার্মেসিতে এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করুন। কারণ এই সফটওয়্যারটি ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহককে ডিজিটাল সেবা দেওয়া সম্ভব। এই সফটওয়্যার ব্যবহার করার জন্য যে সকল হেল্প প্রয়োজন সেটাও এই সফটওয়্যারের সাপোর্ট টিম থেকে পাচ্ছি। বেটার হেল্‌থ ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করে পিএমএস সফটওয়্যারটি পাওয়া যাবে।