BHB Newsletter

বিএইচবি বেসরকারি ঔষধ বিপণীকে এক্রেডিটেশন প্রদানের ২০২১-২০২২ সালের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে

বেটার হেলথ ইন বাংলাদেশ (বিএইচবি) বাংলাদেশ সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সাথে দেশের বেসরকারি ঔষধ বিপনীগুলোকে নির্দিষ্ট মানদন্ড অর্জনের বিপরীতে এক্রেডিটেশন সনদ প্রদানের জন্য কাজ করছে। সনদপ্রাপ্ত ঔষধ বিপণীগুলো মডেল ফার্মেসী বা মডেল মেডিসিন শপ হিসেবে পরিগণিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস ফর হেলথ (এমএসএইচ)-এর একটি প্রকল্প হিসেবে যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস-এর অর্থায়নে বিএইচবি এক্রেডিটেশন কর্মসূচি পরিচালনা করে থাকে । এক্রেডিটেশন সনদ প্রাপ্তির জন্য বেসরকারি ঔষধ বিপণীগুলোকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত মানদন্ড অর্জন করতে হয়। এজন্য কয়েকটি ধাপে কিছু প্রাক-কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে বিএইচবি। যেমন দৈবচয়ন ভিত্তিতে নির্বাচিত বেসরকারি ঔষধ বিপণীগুলোর প্রাক-মূল্যায়ন; সেগুলোর মধ্য থেকে ৩টি বৈশিষ্ঠ্য বিদ্যমান থাকা সাপেক্ষে কিছু ঔষধ বিপণীকে নির্বাচন করা; সেসব বিপনীতে কর্মরত গ্রেড সি ফার্মেসী টেকনিশিয়ানদের গুড ফার্মেসী প্রাকটিস বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান; প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী গ্রেড সি ফার্মেসি টেকনিশিয়ানদের স্ব স্ব বিপনীগুলো মানদন্ড উন্নীত করার সুযোগ প্রদান। এ সময়ে ঔষধ বিপণীগুলোতে বিএইচবি-র এক্রেডিটেশন এসোসিয়েটসগণ বারংবার পরিদর্শন করে সেগুলোকে ১২টি মানদন্ডের সব কয়টি অর্জনে সহায়তা করে থাকে। পরবর্তীতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট জেলা কর্মকর্তাকে প্রস্তুত ঔষধ বিপণীগুলো পরিদর্শনের অনুরোধ জানানো হয়। পরিদর্শনে সন্তুষ্ট হলে তিনি সকল মানদন্ড অর্জনকারি ঔষধ বিপনীগুলোকে মডেল ফার্মেসি বা মডেল মেডিসিন শপ হিসেবে এক্রেডিটেশন প্রদানের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে সুপারিশ প্রদান করে থাকেন এবং অতঃপর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এই সনদ বিতরণ করে। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের জেলা কর্মকর্তাগণ ৪,৫৪২টি ঔষধ বিপনীকে এক্রেডিটশন সনদ প্রদানের জন্য সুপারিশ করেছেন যা লক্ষ্যমাত্রা ৪,০০০-এর শতকরা ১১৪ ভাগ। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪% বেশী সাফল্য অর্জিত হয়েছে।