BHB Newsletter

মডেল ফার্মেসি এবং মডেল মেডিসিন শপ প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় এক্রেডিটেশন গাইডলাইন

বেটার হেলথ ইন বাংলাদেশ প্রকল্প, ফরেন কমনওয়েলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের সহায়তায় বাংলাদেশের খুচরা ঔষধের দোকানগুলোর সার্বিক মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ঔষধ প্রসাশন অধিদপ্তরকে কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এক্রেডিটেশন পদ্ধতি স্বয়ংসম্পূর্ণ করার উদ্দেশ্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বেটার হেলথ ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগিতায় মডেল ফার্মেসি এবং মডেল মেডিসিনশপ প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় এক্রেডিটেশন গাইডলাইন তৈরী করছে। গাউডলাইনটি গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক, জনাব মোঃ ইয়াহ্ইয়ার নেতৃতাধীন কমিটির মাধ্যমে চূড়ান্ত হয়েছে। এই গাইডলাইনটির মাধ্যমে ঔষধ প্রসাশন অধিদপ্তর খুচরা ঔষধের দোকানগুলোকে মডেল ফার্মেসি বা মডেল মেডিসিন শপ-এ রুপান্তরের প্রক্রিয়া চালু রাখতে পারবে এবং গাইডলাইনটিকে কার্যকরি টুল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়াও ঔষধের দোকানের মালিকগণ এই গাইডলাইনটি ব্যবহার করে তাদের নিজেদের দোকানগুলোকে আদর্শ ফার্মেসি প্র্যাকটিসের আলোকে এক্রেডিটেশনের প্রাপ্তির জন্য প্রস্তুত করতে পারবে।

গাইডলাইনটিতে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছেঃ

  • বাংলাদেশের খুচরা ঔষধের দোকানগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি এবং পরিস্থিতি উন্নয়নের সম্ভাবনাসমূহ
  • ঔষধের দোকান প্রাক-মূল্যায়নের পদ্ধতি
  • মডেল ফার্মেসি এবং মডেল মেডিসিন শপে উন্নীত হওয়ার জন্য গুড ফার্মেসি প্র্যাকটিস প্রশিক্ষণ পদ্ধতি
  • ঔষধের দোকান প্রশিক্ষণ পরবর্তী মূল্যায়নের পদ্ধতি
  • ঔষধের দোকান পরিদর্শন
  • প্রাক বা পরবর্তী মূল্যায়নের চেকলিস্ট
  • চূড়ান্ত মূল্যায়ন
  • এক্রেডিটেশনের মেয়াদ

বেটার হেলথ ইন বাংলাদেশ প্রকল্প গাইডলাইনটির প্রাথমিক খসড়া তৈরি করে। অতঃপর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ এক্রেডিটেশন গাইডলাইন রিভিউ এবং চূড়ান্তকরণ কমিটি তৈরি করেন। কমিটির প্রধান ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক জনাব মোঃ ইয়াহ্ইয়া। ইতোমধ্যে, ১৫ নভেম্বর ২০২৩ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখের মধ্যে উক্ত কমিটি ৪টি রিভিউ সভা আয়োজন করে এবং গাইডলাইনটি চুড়ান্ত করে। আগামী এপ্রিল ২০২৪ এ গাইডলাইনটি প্রকাশ করার লক্ষ্য রেখে কাজ অগ্রসর হচ্ছে।