BHB Newsletter

মডেল মেডিসিন শপ এক্রেডিটেশন কর্মসূচির তৃতীয় রাউন্ড শুরু

বেটার হেলথ ইন বাংলাদেশ ২০১৯ সাল থেকেই মডেল মেডিসিন শপ এক্রেডিটেশন কর্মসূচিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে কারিগরি সহায়তা দিয়ে আসছে। ২০১৯ সালের প্রথম রাউন্ডে ২,১৯৩টি ঔষধ বিপনী মডেল মেডিসিন শপ হিসেবে এক্রেডিটেশন পায়। ২০২১-২০২২ সালের দ্বিতীয় রাউন্ডে আরও ৪,৫৪২টি ঔষধ বিপনী মডেল মেডিসিন শপ হিসেবে এক্রেডিটেশন পায়। তৃতীয় রাউন্ডে ৩,৫০০টি ঔষধ বিপনীকে মডেল মেডিসিন শপে উত্তীর্ণ করে এক্রেডিটেশন প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২৩-২০২৪ সাল মেয়াদে তা বাস্তবায়ন করা হবে। বেটার হেলথ ইন বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে সহায়তা প্রদানের অংশ হিসেবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, ফার্মেসি কাউন্সিল অফ বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতিকে সাথে নিয়ে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে থাকে। কর্মসূচিটি পরিচালিত হয় ৫-ধাপের একটি কাঠামোগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যা ঔষধ বিপনীগুলোর প্রাক-যাচাইয়ের মাধ্যমে শুরু হয় এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট জেলা কর্মকর্তার সরেজমিনে পরিদর্শনে সন্তুষ্টি অর্জন হলে উত্তীর্ণ ঔষধ বিপনীগুলোকে মডেল ফার্মেসি বা মডেল মেডিসিন শপ হিসেবে স্বীকৃতি ও সনদ প্রদানের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।

২০২৩-২০২৪ সালের তৃতীয় রাউন্ডের ৩,৫০০ মডেল ফার্মেসি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বেটার হেলথ ইন বাংলাদেশ ৩,০০০ ঔষধ বিপনীতে প্রাক-যাচাই কার্যক্রম পরিচালনা করবে। পূর্ববর্তি রাউন্ডসমূহে প্রাক-যাচাইকৃত সহস্রাধিক ঔষধ বিপনীকেও অন্তর্ভূক্ত করা হবে। এ কাজের জন্য বেটার হেলথ ইন বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ১০ জন এক্রেডিটেশন এসোসিয়েট নিয়োগ করেছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে তাদের বেটার হেলথ ইন বাংলাদেশ-এর কনফারেন্স রুমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। বেটার হেলথ ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রজেক্ট ডিরেক্টর অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। প্রশিক্ষণে অন্যান্যের মধ্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক জনাব মোঃ ইয়াহহিয়া রিসোর্স পার্সন হিসেবে যোগদান রাখেন।